প্রতিবার বেড়াতে যাই, এবারেও তাই যাব! পুজো মানেই ছুটি: দেবলীনা-তথাগত
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তারকা জুটি দেবলীনা-তথাগত ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়তে ভালোবাসেন পৃথিবীর নানা অচেনা অজানা প্রান্তে। সেটা দেশ পেরিয়ে দেশের বাইরেই বেশিরভাগ। বেড়াতে গিয়েই আহরণ করে আনেন ছবি বানানোর রসদও। তাঁরা চেনা মুখের তারকা দম্পতি। দুজনেই বহুবার নায়ক-নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন। সেই জুটি এবার পুজোয় কী করছেন? শুনলেন শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শহরের ভিড় এড়িয়ে…
প্রতিবার পুজোর ছুটিতে কোনবারই কলকাতায় থাকেননা দেবলীনা-তথাগত। এবার করোনা সংক্রমণেও তাঁরা তাঁদের প্যাশন ছাড়েননি। এবারেও বেরিয়ে পড়ছেন অজানার খোঁজে। পুজোর পুরো ছুটিটাই কাটাবেন কলকাতার বাইরে।
দেবলীনা জানালেন “আমরা পুজোয় কলকাতায় থাকি না। পুজোর সময় শ্যুটিং শিডিউলে লম্বা ছুটি থাকে তাই ট্রাভেলিংয়ের জন্য এটাই উপযুক্ত সময়। আমরা দেশেই থাকি না, দেশের বাইরে ঘুরতে যাই বেশির ভাগ কিন্তু এবার করোনা আবহে দেশের বাইরে গেলে চোদ্দ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে তাই আমরা এবার দেশের বাইরে যাচ্ছি না। তাই আমরা এ বছর পুজোয় নর্থ বেঙ্গল যাচ্ছি। পুজোর কটাদিন ওখানেই থাকব। ফাঁকা জায়গায় যাব দুজনে, গাড়ি করে। ওখানে গিয়ে ভাবব কোথায় থাকা যায় ইত্যাদি। অন্যবার তো পনেরো দিনের ট্রিপ হয়। এবার দশ বারো দিনের জন্য যাচ্ছি।”
অসংখ্য অভিজ্ঞতা
অভিনেতা ও পরিচালক তথাগতর কাছে ওয়াইল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফি একটা প্যাশন। দেবলীনা বললেন “ওখানে তো তথাগত ওঁর ক্যামেরাই নিয়ে যায়। তথাগত শ্যুট করে ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায়। যেখানেই আমরা যাই সেখানেই শ্যুট করি সবকিছুর।”
“এত বছর ধরে যাচ্ছি আমাদের ঝুলিতে প্রচুর গল্প আছে। আমরা দুজন তো স্কুবা করি। সেটা দারুণ এনজয় করি। কিন্তু শুরুতে আমাদের প্রথম স্কুবার অভিজ্ঞতা ভাল নয়। প্রথম বার ব্যাঙ্ককে স্কুবার অভিজ্ঞতা বেশ খারাপ হয় আমাদের। তার পরেরটা শ্রীলঙ্কায়, তার পরেরটা আন্দামানে। আন্দামানে স্কুবার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে ভীষণ ভাল স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। কারণ এশিয়ায় আন্দামানের স্কুবাটাই সেরা স্কুবা। ওরকম আন্ডার ওয়াটার লাইফ আর কোথাও এশিয়াতে দেখা যায় না। সমুদ্রের জলের নীচের জীবন দেখা এক অসাধারণ মুহূর্ত, ওটা লাইফটাইম এক্সপেরিয়েন্স।
ওয়াইল্ডলাইফ বড্ড টানে
আর একটা ঘটনা মনে পড়ছে, আমাদের গত বছরের আফ্রিকা ভ্রমণে সবথেকে দারুন রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা। আমরা ওয়াইল্ড লাইফ পছন্দ করি তাই ছদিনে বারো ঘন্টা করে সাফারি ছিল আমাদের। সে এক সত্যি রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা। সেই সাফারিতে খুব কাছ থেকে পশুপাখিদের জীবন দেখেছিলাম। খুব খুব কাছ থেকে হিংস্র পশুদের মাতৃত্ববোধ সংসারবোধ দেখেছিলাম। এমন কোনও প্রাণী তো নেই যা ওখানে নেই। এবং খোলা ভ্যানে চড়ে খুব কাছাকাছি থেকে ওদের দেখা যায়। ওরাও খুব হিউম্যান ফ্রেন্ডলি। ওরা অভ্যস্ত ট্যুরিস্ট দেখতে। পশুদের মাতৃত্ববোধ দেখে অবাক হতে হয়। সেটা হাতি থেকে শুরু করে চিতা, সিংহ, হরিণ সবারই। এ অভিজ্ঞতা রয়ে যাবে জীবনে।
আর এবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে আরও কিছু নতুন গল্প নতুন অভিজ্ঞতা আশা করি সঞ্চয় হবে আমাদের ঝুলিতে। সবার পুজো ভাল কাটুক, সবাই সুস্থ থাকুন।”