যতই মাছ-মাংস খান পুজোয়, সবুজ শাকসব্জি বাদ দেবেন না কিন্তু: ডক্টর ইন্দ্রাণী ঘোষ
ডক্টর ইন্দ্রাণী ঘোষ
(পুষ্টিবিদ)
বাংলা তথা বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর পুজোর পাঁচদিন টানা পেটপুজোও চলে। শরীরের দিকে খেয়াল রাখেন না অনেকেই। পুজোর ক’দিন বাইরে বাইরে ঘুরে খাওয়া-দাওয়া তো চলেই। নিয়ম মানতে চান না কেউই। প্রচুর অনিয়ম করেন। যদিও এবার বাড়িতে বসেই আমরা উৎসব উদযাপন করব। তবুও কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত। কারণ পুজোর পর আমাদের আবার স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু হয়। তখন অসুস্থ হয়ে পড়লে অসুবিধা হবে।
পুজোর সময় বাড়িতে থাকলেও যেগুলো মেনে চলবেন।
১. স্যালাড খাবেন প্রচুর পরিমাণে। সবুজ সবজি দিয়ে স্যালাড বানিয়ে লাঞ্চের সময় খান। শরীর ঠান্ডা থাকবে।
১. অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার একটু এড়িয়ে যাবেন। কলকাতায় পুজোর সময় একটু গরম তো থাকেই। বাইরে বেরিয়ে লাঞ্চ করুন, বা ঘরে বসেই, একটু হালকা খাবার খান। সুস্থ থাকবেন।
২. সকালে, দুপুরে বা রাতে খুব বেশি খাবার খাবেন না। পরিমাণ বুঝে খান। যতটা প্রয়োজন ততটাই। সারাদিন বাড়িতে থাকলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ক্ষিদে পায়। ফলে এক ঘন্টা অন্তর অন্তর অল্প খেয়ে পেট ভর্তি রাখতে পারেন।
৩. বাইরে থেকে কেনা খাবার একদম খাবেন না। বিশেষ করে বার্গার, পিৎজা, কোল্ডড্রিঙ্কস। এই ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। যদিও পুজোর কটাদিন এগুলো খেতেই বেশি পছন্দ করে কমবয়সীরা। তবুও ঘরেই হালকা অথচ সুস্বাদু স্ন্যাকস তৈরি করে খেতে পারেন।
৪. প্রচুর ফল আর সবজি খান। পুজোর সময় পরিস্থিতিটাকে ভুলে যাবেন না। ভিটামিন সি যুক্ত ফল দিনে অন্তত একটা খাবেন। আর মাছ মাংস যাই খান তার আগে একবাটি সিদ্ধ সবজি বা তরকারি খাবেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
৫. পুজোর সময় রোদের মধ্যে বাইরে বাইরে ঘোরার সময় জল খেতেই ভুলে যান অনেকে। জলের বদলে অনেক সময় কোল্ডড্রিঙ্কস খান। একেবারেই তা করবেন না। জলের বিকল্প কিছু নেই। ঘনঘন জল খান। বাড়িতে থাকলেও এই অভ্যাস করুন। কখনও কখনও ডাবের জলও খেতে পারেন। আবার জলে লেবু, জলজিরা মিশিয়েও খেতে পারেন।
৬. রাত জেগে ঠাকুর দেখা তো চলেই। এবার হয়তো রাত জেগে বই পড়বেন বা সিনেমা দেখার প্ল্যান অনেকের। তাদের কিন্তু ঘুমের ঘাটতি থেকে যায়। আবার বাড়ির মা, জ্যেঠিমারা সারাদিন বাড়ির সকলের জন্য রান্না করার পর ঠিক করে বিশ্রাম নেন না। এতে কিন্তু শরীর ভীষণ খারাপ হয়। অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।