কামাখ্যা মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়েছে কবিরাজ বাগান দুর্গোৎসব
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবারের পুজোয় চমক দিতে বদ্রীনাথ মন্দিরের নির্মাণ করেছে। কিন্তু দিন কয়েক আগেই তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করে দিয়েছে এবার তাদের পুজো কেবলমাত্র শুধু তাদের সভ্য সমর্থক ও পল্লীবাসীদের জন্য। বহিরাগত দর্শনার্থীরা বদ্রীনাথের মন্দির দর্শনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
কিন্তু উত্তর কলকাতার আরও একটি পুজো কমিটি এবার সতীপীঠের একটি পীঠকে কলকাতায় হাজির করার বিষয়ে মনস্থির করেছে। কবিরাজ বাগানের দুর্গোৎসবের মণ্ডপসজ্জায় দেখা যাবে কামরূপ কামাখ্যার মন্দির। সতীপীঠের এই পীঠ আদতে রয়েছে অসমের কামরুপে। ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি করোনা সংক্রমনের কারণে বেড়াতে যেতে পারছেন না। সে কথা মাথায় রেখেই কবিরাজ বাগানের পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা এবার বাঙালি এই অতি পবিত্র ধর্মস্থলকেই নিজেদের পুজোর বিষয় ভাবনা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মণ্ডপসজ্জা প্রসঙ্গে পুজো কমিটির সভাপতি অমল চক্রবর্তী বলেন, “আমরা প্রতি বছরই নিত্যনতুন চমক দিয়ে আসি। এ বছরও আমরা কয়লাখনির আদলে গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যা ব্যয়বহুল হলেও দর্শকরা দেখে খুবই আনন্দ পেতেন। কিন্তু করোনা মহামারীর জন্য তৈরি হওয়া লকডাউন আমাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। এর পরে ভাবতে শুরু করি কীভাবে কম বাজেটে নিজেদের ঐতিহ্য বজায় রেখে, পুজোর গরিমা রক্ষা করা যায় ? সেই সময়ই আমাদের কামাখ্যা মায়ের মন্দির নির্মাণের কথা মাথায় আসে। পুজোয় প্রমাণ পিপাসু বাঙালি আমাদের এখানে এলে কামাখ্যা মায়ের দর্শন করতে পারবেন দেখতে পাবেন তাঁর মন্দির। এটাই আমাদের পুজোতে নতুন মাত্রা দেবে।”
সরকারি নির্দেশ মেনে তৈরি কামাখ্যা মায়ের মন্দির নির্মাণ হলেও, সেখানে দেবী দুর্গার দর্শন করা যাবে মন্ডপের বাইরে থেকে। কোভিড বিধি মেনেই পূজার অঞ্জলির ক্ষেত্রেও অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কবিরাজ বাগানের কর্তারা। মণ্ডপের বাইরে থেকেই অঞ্জলি দিতে হবে দেবীকে। ভলেন্টিয়ারা পুষ্পাঞ্জলী ফুল মা দুর্গার প্রায় পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন। এইভাবে ধাপে ধাপে অঞ্জলির বন্দোবস্ত করে ভিড়ের ঝুঁকি এড়াতে চান তাঁরা। উত্তর কলকাতার কবিরাজ বাগানের শারদোৎসব এবার ৫৪তম বর্ষে পদার্পণ করবে।