পুজোয় ভাঙুন প্রথা, সুন্দর করে নিজেদের সাজাতে পারেন ছেলেরাও: অঙ্কুশ বহুগুনা
সামনেই পুজো। মেয়েদের মত ছেলেদেরও সেজে উঠতে ইচ্ছে করে বৈকি। তবে ছেলেরা যেমন কাঁদলেই গায়ে বসে যায় ‘মেয়েলি’ ট্যাগ, তেমনি একটু সেজেগুজে থাকতে পছন্দ করলে তাদের ‘লেডিস’ বিশেষণ ছুড়ে দেয় সমাজ।
তবে এসবে পাত্তা দিতে বারণ করছেন অঙ্কুশ বহুগুনা। না, তিনি শাহরুখ খান, জন অ্যাব্রাহামের মত ফর্সা,দাগ-ছোপ মুক্ত ত্বক কীভাবে করবেন তা বলছেন না। তিনি শেখাচ্ছেন সুন্দর থাকতে। শুধু মেয়েরা কেন মেকআপ করে মজা করবেন। ছেলেরাও তাতে অংশ নিতে পারেন। আসুন দেখে নি কীভাবে ছেলেদের মেকআপ করতে শেখাচ্ছেন তিনি।
১. প্রথমেই ব্যবহার করুন যে কোনA ফেসিয়াল অয়েল। ছেলেদের ত্বক মেয়েদের তুলনায় বেশি খসখসে থাকে। ফলে মেকআপ করার আগে একটু অয়েল বা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। মেকআপ করতে সুবিধা হয়।
২. এর পরে ভাল ব্র্যান্ডের ফেস প্রাইমার লাগান। সারা মুখে এমনকি চোখের উপরে নীচেও লাগাবেন। প্রাইমার লাগালে ত্বক স্মুদ দেখায়। আর মেকআপও বহুক্ষণ বসে থাকে। ঘামলে সহজেই ওঠে না।
৩. সাধারণত বেশিরভাগ ছেলের ক্ষেত্রে দেখা যায় চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল। অতিরিক্ত চাপ, রাত জাগার ফলে এমনটা হয়। এই ডার্ক সার্কেল লুকোনোর জন্য ব্যবহার করতে বলছেন কালার কারেক্টর। মুখের স্বাভাবিক রঙের তুলনায় যে জায়গাটা বেশি কালো বা ফেডেড তেমন জায়গায় কমলা রঙের কারেক্টর লাগিয়ে আঙুল দিয়ে ব্লেন্ড করুন।
৪. এর পরের ধাপে ব্যবহার করুন কনসিলার। কপালের মধ্যে, চোখের নীচে, নাকের দু’পাশে, চিবুকে, ঠোঁটের উপরে, নাকের উপরে হালকা করে কনসিলার লাগাবেন। এতে মুখের খুঁতগুলো সহজেই চোখে পড়ে না।
৫. এবারে মুখের স্বাভাবিক রঙের সাথে মিলছে এমন শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত লাইট বা ডার্ক শেড ব্যবহার করবেন না। একটা ভাল ব্লেন্ডার দিয়ে সুন্দর করে ব্লেন্ড করবেন। যাতে মনে না হয় যে অতিরিক্ত মেকআপ করেছেন।
৬. ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা হয়ে গেলে গালের দু’ধারে, চোয়াল বরাবর, নাকের দু’ধারে লম্বালম্বি করে কনট্যুর লাগান। ব্লেন্ডার দিয়ে পুরোটা মুখের সাথে মিশিয়ে দিন। তাতে মুখ কিছুটা সরু দেখায়।
৭. এর পরে ভাল সেটিং পাউডার দিয়ে মেকআপটা বসিয়ে নেবেন। তাতে দিনের বেলা রোদে বা রাতে অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলোর সামনে থাকলেও মুখ ঘামবে না। আর মেকআপ দীর্ঘ সময় ধরে একরকম থাকবে।