পুজোয় আসল চাইনিজ খাবারের স্বাদ পেতে হলে চলে আসুন চাউম্যানে
চিনা খাবারের প্রতি খাদ্যরসিক বাঙালির রয়েছে এক চিরন্তন ভালবাসা। পুজোর সময় মুখের স্বাদ বদলাতে চান অধিকাংশ বাঙালি। প্রতিদিন পোলাও, মটন কষা চলবে না। একদিন অন্তত চাইনিজ খাবার খাওয়া চাই-ই চাই। আর চাইনিজ খাবার খেতে চাইলে কলকাতায় প্রথম সারির যে রেঁস্তোরাগুলির কথা মাথায় আসে, তার মধ্যে একটা হল ‘চাউম্যান’।
গত কয়েক মাস ধরে টানা লকডাউনের পর ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে কলকাতার রেঁস্তোরাগুলো।
পুজোর সময় নতুন জামা-কাপড় পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরাটা এখন স্বপ্নের মত লাগলেও ভাল খাবার থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হতে একেবারেই নারাজ সকলে। এই সময় বাড়িতে রান্নাবান্না করেন না অনেকেই। খাদ্যরসিক মানুষরা খুঁজতে থাকেন কোথায় নতুন কী পাওয়া যাচ্ছে। তাদের জন্যই সুখবর নিয়ে এসেছে সবার প্রিয় ‘চাউম্যান’।
চাউম্যানের মালিক দেবাদিত্য চৌধুরী জানালেন, পুজোয় তাঁরা অনেক বিশেষ পদ লঞ্চ করতে চলেছেন খাদ্যরসিক খরিদ্দারদের কথা ভেবে। যেমন শুরুতেই মিলতে পারে হট আ্যন্ড স্পাইসি ম্যানচাউ স্যুপ উথ ড্রামস্টিক, প্রন পিপার সল্ট, প্যান ফ্রায়েড চিলি ফিস। তার পরে মূল পদে থাকছে চাউম্যানের স্পেশাল ন্যুডলস, মিক্সড ফ্রায়েড রাইস, মাঞ্চুরিয়ান ফিস, লেমন হানি ফিস, কুং ফাও প্রনস, হানি চিলি পর্ক ইত্যাদি। রেঁস্তোরায় এসে এই পদগুলো অবশ্যই ট্রাই করা উচিত বলে তিনি জানান।
তবে যেহেতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, ভাইরাস সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে তিনি বিশেষ কয়েকটি নিয়মাবলি পালনের কথাও জানিয়েছেন। অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। রেঁস্তোরায় ঢোকার আগে প্রত্যেকের দেহের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হবে। হাত, জুতো, সঙ্গে ব্যাগ থাকলে সেগুলোরও স্যানিটাইজ করার সুব্যবস্থা করা হয়েছে। সঙ্গে কনট্যাক্টলেস পেমেন্ট আর অর্ডারের নিয়ম শুরু করবেন।
আসলে চাইনিজ কুইজিন তো শুধু এক খাবার নয়, এক আবেগের নামও। পাঁচতারা রেঁস্তোরা থেকে শুরু করে ছোটখাটো চাইনিজ খাবারের স্টলে ছয়লাপ কলকাতার রাস্তাঘাট। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সেগুলো আসলে সঠিক চাইনিজ খাবার নয়। রান্নার উপাদানগুলোও ঠিক নয়। বাজার ঘাটে সচরাচর পাওয়া যায় এমন শস, মশলা, নানা উপাদান দিয়ে যে রান্নাটি তৈরি করেন সেটা আসল চাইনিজ খাবার থেকে দশ হাত দূরে।
একমাত্র পাঁচতারা হোটেলে পেতে পারেন আসল চিনা খাবারের স্বাদ। কিন্তু তার যা দাম সেটা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে, দেবাদিত্য চৌধুরী তাঁদের ইচ্ছে পূরণ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন ১৬ই অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর পর্যন্ত দুপুর থেকে রাত অবধি রেঁস্তোরা খোলা থাকবে। দু’জন মানুষের খাওয়া দাওয়ার খরচ ১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। তাহলে আর দেরি কেন, বন্ধুরা মিলে হোক বা সপরিবার, কিংবা খাবার প্লেটে নিভৃতে আলাপ করার যুগলই হোক না কেন, পুজোর একটা দিন ঢুঁ মারতেই হচ্ছে চাউম্যানে।