শুম্ভ-নিশুম্ভের বিনাশ করেছিলেন মা দুর্গা, দেবী কৌশিকীর রূপ ধারণ করে
ত্রেতা যুগ তখন প্রায় শেষের পথে, অমরত্বের লোভে দশ হাজার বছর ধরে দেবাদিদেব মহাদেবের তপস্যা করে চলেছিল শুম্ভ ও নিশুম্ভ। অসুরদ্বয়ের সারা শরীরে গজিয়ে গিয়েছিল গাছ। শরীর ঢেকে গিয়েছিল পাথর ও ধুলোয়। ভক্তদের কঠোর তপস্যায় অবশেষে সাড়া দিয়েছিলেন শিবশম্ভু। চোখ খুলে শুম্ভ – নিশুম্ভ দেখতে পেয়েছিল জটাজুটধারী পরমেশ্বরকে। আরাধ্য দেবতার পদতলে লুটিয়ে পড়েছিল শুম্ভ-নিশুম্ভ।
তুষ্ট মহেশ্বর শুম্ভ-নিশুম্ভকে বর চাইতে বলেছিলেন। শুম্ভ-নিশুম্ভ অমরত্বের বর প্রার্থনা করেছিল তারকনাথের কাছে। কিন্তু নৃশংস দুই অসুরকে অমরত্বের বর দিতে রাজি হননি শূলপাণি। অমরত্ব ছাড়া অন্য যেকোনও বর চাইতে বলেছিলেন। কিন্তু শুম্ভ নিশুম্ভের দাবি ‘অমরত্ব’। শুম্ভ-নিশুম্ভ হাজার অনুরোধ করা সত্ত্বেও অমরত্বের বর না দিয়ে কৈলাসে ফিরে গিয়েছিলেন ত্রিলোকেশ। ক্ষুব্ধ শুম্ভ-নিশুম্ভ এর পর শুরু করেছিল আরও কঠিন তপস্যা। প্রকাণ্ড অগ্নিকুণ্ড তৈরি করে তার ওপর ‘হেটমুণ্ড ঊর্ধ্বপদ’ অবস্থায় তপস্যা শুরু করেছিল অসুরদ্বয়।
অত্যন্ত কঠোর এই তপস্যা চলেছিল প্রায় আটশো বছর ধরে। শুম্ভ-নিশুম্ভের কঠোর তপস্যা দেখে প্রমাদ গুণতে শুরু করেছিলেন দেবতারা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, শুম্ভ নিশুম্ভের কঠোর তপস্যায় আশুতোষ তুষ্ট হয়ে অমরত্বের বর প্রদান করলে, দেবতাদের হাত থেকে স্বর্গ ছিনিয়ে নেবে অসুরকুল। আতঙ্কিত দেবতারা গিয়েছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। দেবতাদের মুখ থেকে সব শুনে ইন্দ্র বুঝতে পেরেছিলেন, শুম্ভ নিশুম্ভের তপস্যা সফল হলে প্রলয় ঘটবে ত্রিলোকে। তাই ইন্দ্রের আদেশে অসুরদ্বয়ের তপস্যা ভঙ্গ করতে তপস্যাস্থলে গিয়েছিলেন দেবতা কন্দর্প। কন্দর্পের সঙ্গে ছিলেন দুই অতীব রূপবতী অপ্সরা, রম্ভা ও তিলোত্তমা।
তপস্যাস্থলে গিয়ে কন্দর্প দেখেছিলেন অগ্নিকুণ্ডের লেলিহান শিখা আকাশ ছুঁয়েছে। অগ্নিকুণ্ডের উপরে মাথা নীচে পা ওপরে করে ঝুলন্ত অবস্থায় তপস্যা করছে শুম্ভ- নিশুম্ভ। আগুনের হলকায় ঝলসে যাচ্ছে শরীর, তবুও অসুরদ্বয় নির্বিকার চিত্তে ব্যোমকেশের আরাধনা করে চলেছে। দেবরাজ ইন্দ্রের পরিকল্পনা মতো শুম্ভ-নিশুম্ভের দিকে পুষ্পবাণ নিক্ষেপ করেছিলেন কন্দর্প। তপস্যাভঙ্গ হয়েছিল শুম্ভ ও নিশুম্ভের। চোখ খুলে তারা দেখেছিল পরমাসুন্দরী দুই অপ্সরাকে। অসুরদ্বয়ের মনে জেগে উঠেছিল কামনার হলাহল। সদাশিবের আরাধনা ভুলে, অমরত্বের কথা ভুলে, অপ্সরাদের সঙ্গে সহবাসে মেতে উঠেছিল অসুরদ্বয়।
অপ্সরাদের সঙ্গে প্রায় পাঁচহাজার বছর উদ্দাম সহবাস চলেছিল শুম্ভ-নিশুম্ভের। পাঁচহাজার বছর পর তাদের খেয়াল হয়েছিল, উত্তেজনার বশে কী ভয়ানক ভুল করে ফেলেছে তারা। নারী সহবাসকে গুরুত্ব দিয়ে ফেলায় বিলীন হয়ে গিয়েছে তাদের অমরত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা। দেবতাদের কৌশল ধরে ফেলেছিল তারা। অপ্সরাদের তীব্র ভাষায় তিরস্কার করে, তৃতীয়বার তপস্যায় বসেছিল নাছোড়বান্দা শুম্ভ-নিশুম্ভ। শুরু করেছিল আরও কঠোর ও ভয়ানক এক তপস্যা।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে মাংস কেটে নিক্ষেপ করতে শুরু করেছিল যজ্ঞের আগুনে। ক্রমশ কঙ্কালে পরিণত হতে শুরু করেছিল শুম্ভ নিশুম্ভ। এভাবে এক হাজার বছর তপস্যা চলার পর ভক্তদ্বয়কে দেখে বিচলিত হয়ে উঠেছিলেন মহাদেব। উপস্থিত হয়েছিলেন যজ্ঞের সামনে। অসুরদ্বয় প্রার্থনা করেছিল অমরত্ব। কিন্তু অমরত্বের বর না দিয়ে মহাদেব দিয়েছিলেন অন্য একটি বর। যে বলে বলীয়ান হয়ে শুম্ভ ও নিশুম্ভ সম্পদ ও শক্তিতে দেবতাদের চেয়েও উচ্চাসনে থাকবে।
ভক্তদ্বয়কে বর দিয়ে কৈলাসে ফিরে গিয়েছিলেন মহাদেব। থরহরিকম্প শুরু হয়েছিল স্বর্গলোকে। শুম্ভ নিশুম্ভের মতো ভয়ঙ্কর দুই অসুর দেবতাদের থেকে শক্তিশালী হওয়ার অর্থ দেবতাদের দেবত্বের বিনাশ। অন্যদিকে অসীম ক্ষমতালাভ করার আনন্দে আত্মহারা শুম্ভ-নিশুম্ভ শুরু করেছিল স্বর্গ আক্রমণের প্রস্তুতি। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়েছিল দেবাসুরের মধ্যে যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিলেন দেবতারা। ভীতসন্ত্রস্ত দেবতারা গিয়েছিলেন ভগবান শ্রীবিষ্ণু ও প্রজাপতি ব্রহ্মার কাছে। মানসচক্ষে তাঁরা আগেই অবলোকন করেছিলেন দেবতাদের পরাজয়। কিন্তু শ্রীবিষ্ণু ও ব্রহ্মা উপস্থিত দেবতাদের জানিয়েছিলেন, যে বর প্রদান করেছেন স্বয়ং মহাদেব, সে বর খণ্ডন করার ক্ষমতা তাঁদের নেই। শ্রীবিষ্ণু ও প্রজাপতি ব্রহ্মা দেবতাদের পাঠিয়েছিলেন দেবাদিদেবের কাছে।
তাঁর কাছে উপস্থিত হওয়ার পর ভয়ভীত দেবতাদের মহাদেব জানিয়েছিলেন, প্রদান করা বর তিনি ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। তবে দুই অজেয় অসুরকে পরাভূত করার পথ তিনি বলে দেবেন। পিনাকপাণি দেবতাদের বলেছিলেন দেবী দুর্গার আরাধনা করতে। অসুরনাশিনী দেবীই নিধন করবেন অসুরদ্বয়কে। দেরি না করে দেবতারা হিমালয়ে বসেই দেবী দুর্গার স্তব স্তুতি করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে শিবজায়া পার্বতী যাচ্ছিলেন গঙ্গাস্নানে। তাঁর কানে ভেসে এসেছিল দেবতাদের মুখনিঃসৃত ‘অপরাজিত স্তব’। মা পার্বতী তখন দানব-দলনী দুর্গার ‘কৌশিকী’ রূপ ধারণ করে দেখা দিয়েছিলেন দেবতাদের। শুম্ভ-নিশুম্ভকে সংহার করার সংকল্পের কথা দেবতাদের জানিয়েছিলেন দেবী কৌশিকী। আশান্বিত দেবতারা ফিরে গিয়েছিলেন স্বর্গে।
কয়েকদিন পর শুম্ভ ও নিশুম্ভের দুই চর চণ্ড ও মুণ্ড হিমালয়ে ঘোরাঘুরি করার সময় দেখতে পেয়েছিল দেবী পার্বতীকে। দেবীর অনির্বচনীয় সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে চণ্ড-মুণ্ড অসুরদ্বয় শুম্ভ নিশুম্ভের কাছে গিয়ে দিয়েছিল দেবীর রূপমাধুরীর বর্ণনা। তারা বলেছিল দেবলোকের এই নারী একমাত্র শুম্ভ নিশুম্ভের ঘরনি হওয়ার উপযুক্ত। সব শুনে শুম্ভ নিশুম্ভ বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে মহাসুর সুগ্রীবকে পাঠিয়েছিল দেবীর কাছে। মহাসুরের মুখে অকল্পনীয় কুপ্রস্তাব শুনেও ক্রুদ্ধ হননি দেবী। মিষ্টস্বরে সুগ্রীবকে দেবী বলেছিলেন, বাল্যকালে খেয়ালের বশে তিনি একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। যে পুরুষ তাঁকে যুদ্ধে হারিয়ে তাঁর দর্পচূর্ণ করতে পারবেন, তাঁকেই তিনি বিবাহ করবেন। সুগ্রীব যেন তাঁর প্রভু শুম্ভ নিশুম্ভকে বলেন দেবীকে যুদ্ধে হারিয়ে তাঁদের ঘরনি করে নিয়ে যেতে।
বিফল-মনোরথ মহাসুর সুগ্রীব ফিরে গিয়েছিল শুম্ভ নিশুম্ভের কাছে। সুগ্রীবের মুখ থেকে এক নারীর এহেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা শুনে ক্রোধে হুঙ্কার দিয়ে উঠেছিল শুম্ভ নিশুম্ভ। হিমালয়বাসিনী উদ্ধত নারীর দর্পচূর্ণ করে তাকে ধরে নিয়ে আসার জন্য পাঠিয়েছিল অসুর সেনাপতি ধূম্রলোচনকে। বিশাল অসুরবাহিনী নিয়ে হিমালয়ে পৌঁছে ধূম্রলোচন দেবীকে যুদ্ধে আহ্বান জানিয়েছিল। সাড়া দিয়েছিলেন দেবী। অসুরবিনাশিনী কৌশিকী দিয়েছিলেন রণহুঙ্কার। সেই রণহুঙ্কারে কেঁপে উঠেছিল স্বর্গ মর্ত্য পাতাল। হুঙ্কারের তেজেই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল ধূম্রলোচন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেবী ধ্বংস করে ফেলেছিলেন ধূম্রলোচনের অসুরসেনাদেরও।
রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এসে কয়েকজন অসুর শুম্ভ নিশুম্ভকে জানিয়েছিল ধূম্রলোচন ও তার সেনাদের পরিণতির কথা। ক্রোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে শুম্ভ-নিশুম্ভ, চণ্ড-মুণ্ডকে পাঠিয়েছিল দেবীকে ধরে আনার জন্য। চণ্ড-মুণ্ড সহ নতুন অসুরদলকে দেখে এবার ভীষণ রূপ ধারণ করলেন দেবী কৌশিকী। নিজের শরীর থেকে সৃষ্টি করলেন এক ভয়াবহ দেবীকে। সৃষ্টি হওয়া মাত্রই সেই দেবী অসুরদের ধরে ধরে ভক্ষণ করতে শুরু করেছিলেন। খড়্গের আঘাতে সেই দেবী অসুর চণ্ডের মুণ্ডচ্ছেদ করলেন, মুণ্ডের মুণ্ডচ্ছেদ করে আকণ্ঠ রক্তপান করলেন। চণ্ড-মুণ্ডের বিনাশ ঘটার পর দেবী কৌশিকী সদ্য জাগ্রতা অসীম শক্তির অধিকারী এই দেবীর নাম দিলেন ‘চামুণ্ডা’।
চণ্ড ও মুণ্ডের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ক্রোধে বাহ্যজ্ঞান শূন্য হয়ে দেবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল শুম্ভ নিশুম্ভ। অন্যদিকে দেবী কৌশিকী তাঁর নিজের অঙ্গ থেকে সৃষ্টি করতে শুরু করেছিলেন নিজেরই বিভিন্ন রূপ। একে একে রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ব্রহ্মাণী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বারাহী,নারসিংহী, ঐন্দ্রী আদি দেবীরা। হিমালয়ের অঙ্গনে শুরু হয়েছিল এক ভয়াবহ যুদ্ধ। দেববলে বলীয়ান দেবীরা নির্মমভাবে সংহার করতে শুরু করেছিলেন অসুরদের। শুম্ভ-নিশুম্ভের অসুরবাহিনী যখন প্রায় ধ্বংস হওয়ার পথে, সহসা রণক্ষেত্রে আবির্ভাব হয়েছিল রক্তবীজ নামে এক ভয়ঙ্কর অসু্রের।
দেবীদের অস্ত্রাঘাতে রক্তবীজের শরীর থেকে নির্গত হওয়া রক্ত দেবভূমি স্পর্শ করামাত্র প্রতিটি রক্তকণা থেকে সৃষ্টি হতে শুরু করেছিল এক হাজার রক্তবীজ। রক্তবীজকে কিছুতেই ভূপতিত করা সম্ভব হচ্ছিল না। দেবী কৌশিকীর আহ্বানে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করেছিলেন দেবী চণ্ডী। দেবী কৌশিকীকে দেবী চণ্ডী বলেছিলেন, মাটিতে পড়ার আগেই যদি মা চামুণ্ডা রক্তবীজের রক্ত পান করে নিতে পারেন, তাহলে তিনি রক্তবীজকে বধ করতে সক্ষম হবেন।
রণক্ষেত্র জুড়ে মা চামুণ্ডা বিছিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর রক্তলোলুপ জিহ্বা। রক্তবীজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে দেবী চণ্ডী রক্তবীজকে নিয়ে এসেছিলেন মা চামুণ্ডার জিহ্বার ওপর। দেবী চণ্ডীর অস্ত্রাঘাতে ঝরতে শুরু করেছিল রক্তবীজের রক্ত। নির্গত হওয়া রক্তধারার প্রতিটি কণা শোণিত শুষে নিতে শুরু করেছিলেন মা চামুণ্ডা। এর ফলে জন্ম নিতে পারছিল না রক্তবীজের বংশধরেরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেবী চণ্ডী বধ করেছিলেন অসহায় রক্তবীজকে।
এরপর দেবী কৌশিকীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল নিশুম্ভ। ভয়াবহ সেই যুদ্ধে নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন ক্রোধান্বিতা দেবী। নিজের চোখে নিশুম্ভের মৃত্যু দেখার পর হিংস্র হুঙ্কার ছেড়ে শুম্ভ বলেছিল, নিশুম্ভকে বধ করার মধ্যে দেবীর কোনও কৃতিত্ব নেই। কারণ দেবী অন্য দেবীদের সাহায্য নিয়ে অসুরদের নিধন করেছেন। ভুবন কাঁপানো অট্টহাসি হেসে দেবী কৌশিকী বলেছিলেন, এই জগতে আমি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নেই। সকল দেবীই আমার ভিন্ন ভিন্ন রূপ।”
এর পর দেবীর শরীর থেকে সৃষ্টি হওয়া সকল দেবী একে একে মিলিয়ে গিয়েছিলেন দেবী কৌশিকীর দেহে। দেবীকে একা পেয়ে যুদ্ধে হারানোর আশায় উল্লসিত হয়ে উঠেছিল শুম্ভ। ঘোরতর যুদ্ধ শুরু করেছিল দেবীর সঙ্গে। কিন্তু অচিরেই তার যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন জীবনের অন্তিম দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। দেবীর শূল বজ্রপাতের ন্যায় বিদ্ধ করেছিল শুম্ভের বুক। শুম্ভের প্রাণহীন দেহ লুটিয়ে পড়েছিল দেবীর পদতলে।
শুম্ভ-নিশুম্ভের নিধনে দেবতারা ফিরে পেয়েছিলেন স্বর্গের অধিকার। আনন্দের জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল স্বর্গলোক। দেবীর স্তব স্তুতিতে মেতে উঠেছিলেন দেবতারা। দেবী কৌশিকী বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন পার্বতীর দেহে।
[…] আরও পড়ুন: শুম্ভ-নিশুম্ভের বিনাশ করেছি… Your browser does not support the video tag. durgapujagoddess durgalifemahisasuraMysteriousRupanjanthe demon Kingদুর্গাপুজো ১ Share FacebookTwitterGoogle+ReddItWhatsAppPinterestEmail […]